১. ভূমিকা
ক। প্রবাসে কর্মরত বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলা টিটির চর গ্রামের সকল প্রবাসীর কল্যাণার্থে একটি সমিতি গঠন করা হইল।
২. নাম করণ
ক. এই সমিতি "টিটির চর প্রবাসী একতা সমিতি" নামে অভিহিত হইবে।
খ. সমিতির স্থায়ী কার্যালয় কুমিল্লা জেলা মেঘনা উপজেলা এলাকায় অবস্থিত হইবে।
তবে নিজস্ব ভবন না হওয়া পর্যন্ত সমিতি সৌদিয়া আরব প্রবাস থেকে অন-লাইনে বা ফেসবুক মেসেঞ্জারে পরিচালনা করা হইবে।
গ। সমিতির বিশেষ প্রয়োজনে শাখা থাকিবে খোলা হবে,
৩.০, উদ্দেশ্য
সমিতির সদস্য ও তাহার পরিবারবর্গের জীবন যাত্রা মান উন্নতি সাধন এই সমিতির মুখ্য উদ্দেশ্য,
উপরোক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমিতি নিম্নলিখিত কার্যাবলী গ্রহন করিতে পারিবে :-
ক. সদস্যগনের এবং সংগঠনের স্বার্থে সদস্যদের নিকট থেকে মাসিক/বাৎসরিক/এককালীন চাঁদা আদায় এবং পুজিভূত অর্থ সুদ মুক্ত ও ইসলামিক শরিয়ায়হ মোতাবেক,
লাভজনক খাতে বিনিয়োগ,
খাতসমুহ-
১. জমি ক্রয় ও বিক্রয়,
২. গৃহ নির্মান,
৩. পরিবহন ,
৪. কুটির শিল্প,
৫. হস্ত শিল্প,
৬. হাস-মুরগী পালন,
৭. মৎস চাষ ও গবাদী পশু পালন,
৮.স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ইত্যাদি।
খ. আবাসিক এলাকা নির্মানে সদস্যদের সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা,
গ. ইহা একটি সম্পূর্ন্য অরাজনৈতিক, উন্নয়নমূলক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান।
৩.১, সমিতির মাধ্যমে অত্র সমিতির সদস্যদের বসবাসের জন্য গৃহ নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহন করিতে পারিবেন,
ক. সমিতির সভাপতি,সাধারন সম্পাদক, তিন জন কোষাধ্যক্ষদের নামে জমি ক্রয় করিবে,এবং পরে সদস্যদের নামে বরাদ্দ পত্র সহ প্লট হস্তান্তর করিবে,।
খ. হস্তান্তর সংক্রান্ত :- একজন প্লট হোল্ডার নিম্নে বর্ণিত শর্তে যে কোন সময় তার মালিকানাধীন প্লট হস্তান্তর কিংবা বিক্রয় করিয়া দিতে পারিবেন
৩.৩, শর্তসমুহ :-
( ক). প্লট হস্তান্তর/বিক্রয়ের ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া লিখিত ভাবে সমিতির,
সভাপতিকে জানাতে হবে,প্লট হস্তান্তরকারীর নিকট হইতে লিখিত আবেদন পত্র পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে সভাপতি বাজার মুল্যে প্লটটি হস্তান্তর/ বিক্রয়ের জন্য খোলা নোটিশ জারী করিবেন, নোটিশ জারীর পনের দিনের মধ্যে আগ্রহী ক্রেতাকে সমিতির নিকট আবেদন পত্র জমা দিতে হইবে,
সমিতির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে হস্তান্তর/বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয় লিখিত ভাবে হস্তান্তরকারী সদস্যকে জানিয়ে দিবেন,
(খ). প্লট হস্তান্তর / বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা হিসেবে সমিতির সদস্যকে আগ্রাধীকার দিতে হইবে।
সমিতির কোন সদস্য ক্রয়ে আগ্রহী না হইলে, অন্য সে কোন ব্যক্তি নিকট হস্তান্তর/বিক্রয় করিতে পারিবে,
(গ). প্লট হস্তান্তরকারী প্রথম আবেদন এর এক মাসের মধ্যে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি প্লট হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে তিনি তার নিজ উদ্দ্যোগে প্লটটি হস্তান্তর / বিক্রয়ের ব্যবস্থা করিতে পারিবে,
এ ক্ষেত্রে সমিতির সম্মতি রহিয়াছে বলিয়া ধরিয়া নিতে হইবে।
(ঘ). প্লট হস্তান্তর /বিক্রয়ের সময় সমিতির তহবিলে বিক্রেতা কর্তৃক মোট বিক্রয় মুল্যের ১% হারে হস্তান্তর ফি জমা প্রদান করতে হবে,
৪. সদস্য হইবার যোগ্যতা-
নিম্নে বর্নিত যোগ্যতা সম্পুন্য ব্যক্তিবর্গ সমিতির সদস্য হইতে পারিবেন।
(ক) সদস্যকে অবশ্যই টিটির চর গ্রামের বাসিন্দা হতে হবে।
(খ) প্রবাসে কর্মরত হতে হবে।
(গ) সমিতি স্বার্থে প্রয়োজনীয় এবং সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক বিবেচিত সমিতি এলাকার যে কোন প্রবাসী,
(ঘ) সমিতির সদস্য হিসেবে আছেন যে কোন সদস্যের পরিবারের সদস্যগন।
৫. সদস্য
ক। এই সমিতি মুলতঃ প্রবাসীদের দ্বারা সংগঠিত তাই কোন সদস্য প্রবাস ছেড়ে চলে গেলে বা কোন সমস্যা হলে তার সদস্যপদ অব্যাহত থাকিবে,
খ। সমিতির কোন সদস্য মৃত্যুজনিত অনুপস্থিতিতে তাহার মনোনীত উত্তরাধিকারী সমিতির সদস্য হইতে পারিবে, কোন উত্তরাধিকারী মনোনীত না থাকিলে,
আইনানুগ উত্তরাধিকারী সমিতির সদস্য হইবেন,
গ। যে সকল প্রবাসী সমিতির আবেদন পত্র স্বাক্ষর করেছেন,
৬. যারা সদস্য হবেন নিম্নে দেওয়া হল:-
ক। ৩০০.০০০/=(তিনশত) টাকা ভর্তি ফি প্রদান করিতে হবে,
খ।অন্তত্য একটি শেয়ার কিনতে হবে।একজন সদস্য দুটি শেয়ার ক্রয় করতে পারিবে,
গ। প্রতি মাসে শেয়ার প্রতি ২০০০.০০০০/= (দুই হাজার) অত্র তহবিলে জমা প্রদান করিতে হবে।
ঘ। তাহার মোবাইল নাম্বার এবং জাতীয় পরিচপত্রের একটি ফটোকপি বা পাসর্পোট এর ফটোকপি কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট জমা প্রদান করিতে হবে,
৭. সদস্য নির্বাচন
ক। সদস্য হইতে ইচ্ছুক প্রত্যেক ব্যক্তিকে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্দেশিত ফরমে সম্পাদকের নিকট আবেদন করিতে হইবে,
এই আবেদন পত্র কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্তত্য দুই জন সদস্য কর্তৃক সমর্থিত হইতে হবে।
খ। কার্যনির্বাহী পরিষদ বিশেষ বিবেচনা করিয়া সদস্য হইবার আবেদন পত্র ৩০ দিনের মধ্যে মঞ্জুর করিবেন অথবা উপযুক্ত কারন থাকিলে তাহা নামঞ্জুর করিতে পারিবেন, তাহা অন -লাইনে প্রকাশ করিবেন,
গ। সদস্য নির্বাচন অথবা নামঞ্জুর নোটিশ সমিতির নির্দিষ্ট ফেসবুক মেসেঞ্জারে ১৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করিবেন,
নচেৎ সদস্য পদে গ্রহন করা হয় নাই বলিয়া বিবেচিত হবেন,
৮. সদস্যপদের অধিকার
যতক্ষন কোন ব্যক্তি নিম্নেবর্নিত শর্তবলী পুরন না করিবেন ততক্ষন তিনি সদস্যপদের অধিকার এবং সুযোগ -সুবিধা লাভ করিতে পারিবেন না,
ক। ভর্তি ফি প্রদান।
খ। অন্তত্য একটি শেয়ার ক্রয় করিয়া চাদা পরিশোধ করিতে হবে,
গ। প্রতি মাসে ২০০০/=(দুই হাজার) টাকা সমিতিতে জমা প্রদান করা।
ঘ।তিনি যে এই সমিতির বিধি সমুহ মানিয়া চলিবেন, এই সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি পত্রে স্বাক্ষর প্রদান,
৯, সদস্য উত্তরাধিকার
সদস্যের মনোনিত ব্যক্তি
ক। কোন সদস্য তাহার মৃত্যুর পর তাহার শেয়ার সম্পত্তি অথবা স্বত্ব হস্তান্তর করিয়া দিবার জন্য সমিতির অনুমোদনক্রমে লিখিতভাবে কোন ব্যক্তিকে ওয়ারিশ মনোনীত করিতে পারিবেন,
মনোনীত ব্যক্তির মৃত্যু হইলে সদস্য উহা সমিতিকে জানাইবে। সদস্য ইচ্ছা করিলে যে কোন সময় তাহার মনোনয়ন লিখিতভাবে কার্যনির্বাহী পরিষদ অনুমোদন পুর্বক পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবেন।
এরুপ মনোনীত ব্যক্তিদের একটি তালিকাবহি সমিতি সংরক্ষন করিবে,
খ। সদস্যের মৃত্যু ঘটলে।
সমিতির কোন সদস্যের মৃত্যু প্রমান পাওয়ার পর সমিতির উপবিধি অনুযায়ী উক্ত সদস্যের শেয়ার বা অন্যান্য স্বত্ব হস্থান্তর করা হইবে। সদস্য কর্তৃক কোন মনোনীত ব্যক্তি না থাকিলে সমিতির মৃত্যু সদস্যের আইনতঃ উত্তরাধিকারীগনের মধ্য হইতে নিয়মাবলী উপবিধিতে সমিতির সদস্যপদ লাভের যোগ্য ব্যক্তির নিকট শেয়ার হস্থান্তর করা যাবে।
১০. সদস্যপদ ত্যাগ
কোন সদস্য সমিতির নিকট দেনাদার না হইলে অথবা সমিতির নিকট কোন অপরিশোধিত ঋন জন্য জামিন না থাকিলে, কোষ্যাদক্ষদের নিকট একমাসে দরখাস্ত দিয়ে সদস্য ত্যাগ করিতে পারিবেন,
১১. সদস্য পদ হইতে অপসারন
সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে যে কোন সময় কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যপদ হইতে অপসারন করিতে পারিবেন।
১২. সদস্যদের জরিমানা ও সাময়িক পদাপসারন।
ক। কোন সদস্যের আচরন সম্পর্কে উপযুক্ত তদন্ত করিয়া এবং আবশ্যক সাক্ষাদি গ্রহন করিয়া কার্যনির্বাহী পরিষদ নিম্নেলিখিত কারনে তাহাকে সাময়িক ভাবে পদ্যচুত (সাসপে ণ্ড) অথবা অপসারিত করিতে পারিবেন,
(১) পরপর তিন মাস মাসিক চাঁদা প্রদান না হলে।
(২) কার্যকমিটি কে অবহিত না করে শেয়ার কোন বর্তমান সদস্য বাহিরের কোন ব্যক্তির নিকট বিক্রি/ হস্তান্তর করলে ।
(৩) সমিতির ট্রেড মার্ক বা ব্যানারকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করলে।
(৪) সমিতির আচরণ বিধি লঙ্গন। পেশি শক্তি ব্যবহার করে নিজ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করলে।
(৫) র্কায্যনির্বাহী পরিষদ যাহা সমিতির স্বার্থের প্রতিকুল মনে করেন এমন র্কায করিলে।
(৬)কোন অসাধুতা দেখাইলে অথবা সমিতি কোন চুক্তি লংঘন করিলে।
খ। সাময়িকভাবে পদচ্যুত (সাসপেণ্ডেড) সদস্য পদচ্যুত থাকার সময় সদস্যপদের কোন অধিকার বা সুবিধা ভোগ করিতে পারিবে না।
গ। জরিমানা পদচ্যুতি বা সপসারনের আদেশ দেওয়ার দিন হইতে একমাসের (৩০ দিন) মধ্যে সদস্য উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে অন-লাইনে সাধারন সভার নিকট পূর্নবিবেচনা বা পূর্নবিচারের জন্য আবেদন করিতে পারবে।
ঘ। পূর্নবিবেচনা বা পূর্নবিচারের জন্য আবেদন বা আপীল পাওয়ার ৩মাসের(নব্বই দিন) মধ্যে উহা মীমাংসার জন্যে কার্যনিবাহী পরিষদ একটি বিশেষ সভার ফেসবুক মেসেঞ্জারে আহবান করবে,
যদি উক্ত সময়ের মধ্য কোন সাধারন সভা অনুষ্ঠিত না হয় তাহা হইলে সাধারন সভা অব্যবহতি পূর্বে উপরোক্ত আপীল মীমাংসার জন্য একটি বিশেষ সভার ব্যবস্থা করিতে হইবে।
১৩. সদস্যপদের অবসান।
নিম্নে লিখিত কারনে যে কোন সদস্যপদের অবসান হইবে।
ক। তাহার যাবতীয় শেয়ার হস্থান্তর করিলে।
খ।সদস্য যোগ্যতা হারাইলে।
গ।সদস্যপদে ইস্তাফা দিলে।
ঘ। সদস্য হইতে অবসারিত হইলে।
ঙ।লোকান্তরিত হইলে।
চ।কোন অধিকার বিশিষ্ট আদালত তাহাকে দেউলিয়া বা অপ্রকৃতিস্থ ঘোষনা করিলে,( এ ক্ষেত্রে চিকিৎদার পর সুস্থ্য হলে পূর্নবিবেচনা থাকবে)
ছ। কোন নৈতিক ক্ষুলনজ্জনিত আদালত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইলে।
১৪. পদত্যাগকারী, অবসারিত বা বিতাড়িত সদস্যের টাকা প্রত্যায়।
আইনে বিধানানুযায়ী ও নিয়মাবলী অনুসারে কোন সদস্য পদত্যাগ করিলে অথবা অবসারিত বা বিতাড়িত হইলে কার্যনিবাহী পরিষদ কতৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ অথবা সুদ ব্যতিরেকে তাহার বা তাহার পূর্ববর্তী সদস্যের শেয়ার ক্রয়-এর প্রদত্ত টাকা ফেরৎ পাইবেন।
দায়িত্ব
১৫ সমিতির দেনার জন্য সদস্যের দায়িত্ব তাহার কৃত শেয়ারের মুল্য পর্যন্ত সীমিত থাকিবে,
১৬. আইন, নিয়মাবলী ও উপবিধি মানিয়া করিয়া কার্যনির্বাহী পরিষদ নিম্নোক্তউপায়ে সমিতিএ জন্য টাকা সংগ্রহ করিবে,
ক।সদস্যদের নিকট মাসিক বা বাৎসরিক আমানত গ্রহন,
খ। ঋন দাতা ব্যাংক বা অন্যত্র হইতে কর্জ করিয়া,
গ। জমি বা সম্পদ ক্রয় -বিক্রয় করিয়া,
১৭. শেয়ার বা অংশগত মুলধন,
ক। প্রাথমিক মাসিক মুলধন-৫৬০০০/=(ষাট হাজার)টাকা
খ।অংশগত মোট শেয়ার সংখ্যা - ২৮/=(আঠাইশ) । ৩০(ত্রিশ) শেয়ারে সিমাবদ্ধ থাকিবে,
গ। প্রতি শেয়ার সঞ্জয় মুল্য -২০০০/=(দুই হাজার ) টাকা।
ঘ।সদস্য ব্যতিত অন্য কেউ শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবে না,
ঙ। কোন সদস্য দুটি শেয়ারের বেশী ক্রয় করিতে পারবে না,
চ। প্রথম শেয়ার খরিদ কালে প্রত্যেক শেয়ারের জন্য মাসিক আমানত এবং ভর্তি ফিসহ শেয়ার বাবদ ২৩০০/=টাকা প্রদান করিতে হইবে,
ছ। সমিতির প্রয়োজনে ভবিষৎতে শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করা যাবে,তবে সে ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামত আবশ্যক।
১৯. শেয়ার সার্টিফিকেট বা অংশ নির্দশনী।
ক। প্রত্যেক সদস্য তাহার এক বা একাদিক শেয়ারের জন্য সমিতির সীল মোহরাংকিত একখানি শেয়ার সার্টিফিকেট পাইবে। এবং সার্টিফিকেটে তাহার শেয়ার সংখ্যা লিখিত থাকিবে,
এইরুপ সার্টিফিকেটে সভাপতি বা সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক বা যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক এবং তিন জন কোষ্যদক্ষের সীলসহ স্বাক্ষর থাকিবে,
খ। কোন শেয়ার সার্টিফিকেট বিকৃত বা নষ্ট অথবা হারিয়ে গেলে, কার্য্যনির্বাহী পরিষদ কতৃক নির্দিষ্ট ফি প্রদানের পর কার্য্যনির্বাহী পরিষদ কতৃক আরোপিত কোন শর্ত থাকিলে তদানুসারে নতুন সার্টিফিকেট দেওয়া হইবে।
২০ শেয়ার হস্থান্তর করন।
শুধুমাত্র সমিতির নিকট শেয়ার হস্থান্তর করা চলিবে। কার্য্যনির্বাহী পরিষদ হস্থান্তরিত শেয়ার সমিতির সদস্য অথবা সদস্য হইবার যোগ্যতা সম্প্রন্ন ব্যক্তিকে বিধি অনুসারে পুনঃহস্থান্তর করিতে পারিবে,
২১. তহবিল কোন কোন কাজে ব্যয় হবে।
ক। সমিতির তহবিল নিম্মোক্ত উদ্দেশ্যে খাটানো যাবে।
(১) কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোতিক্রমে সমিতির সদস্যদের বিনাসুদে সহয়াতা ঋন।
(২) সদস্যদিগের হিতার্থে তহবিলে টাকা খাটানো।
(৩) জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনী মালামাল ক্রয় এবং সমিতির ভালভাবে চালাইবার জন্য অফিস ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে বাড়ি তৈরী করা।
(৪) কর্মচারীদের বেতন, বিশেষ প্রয়োজনের খরচ, ঋন,হিসাব পরিক্ষা ফি, ও অন্যান্য স্বাভাবিক কার্য্য পরিচালনার ব্যয়,
(৫) সমিতি উদ্দেশ্য সমূহ কার্য্যপরিষদ করিবার সহায়ক অথবা প্রাসংগিক যে কোন উদ্দেশ্যে টাকা খাটানো।
খ। কার্য্য পরিষদ কমিটির অনুমোতি ব্যতিরেকে কর্জ দ্বারা সংগৃহিত তহবিলের কোন অংশ হিসাব পরিক্ষার ফি ছাড়া উপরোক্ত (৩) হইতে (৫) পর্যন্ত কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাইবেনা।
২২. তহবিল সংরক্ষন ও হস্থান্তর।
ক) আদায়কৃত চাঁদা বাংলাদেশ সরকারের বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোতিত যে কোন ব্যাংকে সমিতির তিনজন কোষাদক্ষের নামে সমিতির ব্যাংক একাউন্ট খোলা হবে,
খ) সমিতির কোষাদক্ষদের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালিত হবে।
(গ) প্রত্যেক সদস্য প্রতি মাসে চাঁদা প্রদান করে কোষাদক্ষের নিকট থেকে টাকার রশিদ নিজ দ্বায়িত্বে বুঝে নেবে অথবা সমিতির ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি জমা দিতে পারবে । সে ক্ষেত্রে ডিপোজিট স্লিপ সমিতির কোষাদক্ষের নিকট না পেশ করা পযন্ত সদস্যর চাঁদা পরিশোধ বলে গণ্য হবে না।
ঘ) কোষাদক্ষদের যৌথ একাউন্টের হিসাব সম্পুন্য সমিতির ফ্রান্ট বলে বিবেচিত হবে।
ঙ) সমিতির জমি বা সম্পদ সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং তিন জন কোষাদক্ষের নামে ক্রয় করা হবে,
চ) সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং তিন জন কোষাদক্ষের নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তি, জমি বা ফ্ল্যাট অথবা অন্যান্য মালামাল সমিতির বলে গন্য হবে,
(ছ) সমিতির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, এবং কোষাদক্ষদের নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তি, জমি বা ফ্ল্যাট অথবা অন্যান্য মালামাল ইত্যাদি তাহাদের যে কোন দুই জনের যৌথ স্বাক্ষরে বিক্রয় করিতে পারিবে, তবে সে ক্ষেত্রে কার্য্যনির্বাহী পরিষদ সাধারন সভায় বা বিশেষ সভার আহবান করিতে হইবে,
উক্ত সভায় সংখ্যা ঘনিষ্ট সদস্যের অনুমোতিত আবেদন পত্রে স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্র জমা প্রদান করতে হবে।
২৩. সমিতির কাঠামো
সমিতির কার্যাবলী সঠিক ও সন্তোষজনকভাবে পরিচালনার জন্য উপদেষ্টা কমিটি, কার্য্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ পরিষদ থাকিবে।
২৪. সাধারণ পরিষদ
সমিতির সকল সদস্য সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে।
সাধারণ পরিষদের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ
(ক) সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন ও অনুমোদন ;
(খ) নির্বাহী কমিটি নির্বাচন ;
(গ) সমিতির বার্ষিক বাজেট ও নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী অনুমোদন ;
(ঘ) বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন ; এবং
(ঙ) অন্যান্য বিষয় যাহা নির্বাহী কমিটি সাধারণ পরিষদের বিবেচনার জন্য পেশ করিতে পারে।
২৫. উপদেষ্টা পরিষদ
সমিতির বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান। ইহা ছাড়া কোন জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকালে নির্বাহী কমিটির সভায় বিশেষ আমন্ত্রণক্রমে যোগদান করিতে পারিবেন।
২৬.কার্য্যনির্বাহী কমিটিঃ-
(ক) সমিতির ১০ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনিবাহী কমিটি থাকবে।
(খ) কার্যকরি কমিটি সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে।
(গ) কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
(ঘ) প্রতি দুই বছর পর পর কার্যকারি কমিটি, সমিতির বার্ষিক সভায় নির্বাচন করা হবে।
(ঙ) কমিটি গঠনের সময় ফাউন্ডার সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
(চ) কার্যকারী পরিষদ সদস্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্য হতে হবে।
(ছ) কার্যকারী পরিষদ প্রত্যেক সদস্যকে উদ্যমী, উদ্যোগী, ধৈর্যশীল, শান্তিপ্রিয় এবং সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।
(জ) পারিবারিক ভাবে রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত এমন কেউ কমিটি প্রধান বা কার্য্যকারী সদস্য হতে পারবে না।
(ঝ)দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে বেহাত হলে, কার্য্যকারী কমিটি পরিষদ এবং উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে, যে সিদ্ধান্ত নেয় তা মাথা পেতে নিতে হবে,
(ঞ)সকল সদস্য কে সমান আগ্রহ অধিকার দিতে হবে, দলাদলি উর্দি থেকে কাজ করতে হবে,
সমিতির সকল সদস্য দের প্রতি সহনীয় সহানুভূতিশীল হতে হবে,
২৭. লাভ/লোকসান বন্টন,
সমিতির লাভ/লোকসান শেয়ারের মূল্যের ভিত্তিতে বন্টিত হবে। তবে লভ্যাংশ বন্টন বা সংরক্ষন কার্যকারি কমিটির সিদ্ধান্তর উপর নিভশীল ।
২৮. কর্ম ও কর্মসূচি
সমিতির উদ্দেশ্য বাস্থবায়নের জন্য কার্য্যনির্বাহী পরিষদ প্রতি বছর একটি কর্মসূচি প্রস্তুত করিবেন। এবং সঠিকভাবে চালানোর জন্য কার্যবিধি রচনা করিবেন, পরিষদ আবশ্যক বোধ করিলে সময়ে সময়ে উক্ত কর্মসূচি কার্যবিধির রদবদল করিতে পারিবেন।
২৯. সাধারন সভা
সমিতির সর্বময় ক্ষমতা সাধারন সভার উপর ন্যস্ত থাকিবে। এই সাধারন সভা সমিতির সকল কার্যের উপর বিশেষতঃ কার্য্যনির্বাহী পরিষদের কার্যবলীর উপর নজর রাখিবেন এবং সমিতির স্বার্থ বজায় রাখিবার জন্য আবশ্যকীয় সকল কার্য করিতে পারিবেন।
৩০. অক্টবর - সেপ্টম্বর সমিতির কার্যকর বছর বলে গন্য হইবে।
৩১ ক। আইনের বিধানমতে প্রতি কার্যকরী বছর অন্ততঃ একটি সাধারন সভা করিতে হইবে।
খ। সমিতি রেজিষ্ট্রার হওয়ার পনের মাসের মধ্যে প্রথম বার্ষিক সাধারন সভা করিতে হইবে।
গ। বার্ষিক সাধারন সভা নিম্নেলিখিত কার্য করিবে :-
১) কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভা কার্যবলী বিবেচনা করা।
২) বিগত বৎসরের জমা খরচ, কর্জ,পাওনা, লাভ -লোকসানের হিসাব ও হিসাব পরিক্ষকের প্রতিবেদন আলোচনা করা,
৩) অর্থ সরবাহকারী ব্যাংক, সদস্য ও অন্যের নিকট হইতে চলতি বৎসরের সর্বোচ্চ দেনার পরিমান নির্ধারন।
৪) লাভ বন্টন।
৫) আয় ব্যয়ের অনুমানিক হিসাব মঞ্জুর।
৬) কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সুপারিশ, লাভ্যাংশ ইদ্যাতি বিবেচনা,
৭) যেহুতু এই সমিতি প্রবাসীদের নিয়ে সংগঠিত এই সমিতি তাই সকল সাধারন সভা অন-লাইন ভিত্তিক ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনুষ্টিত হবে।
৩২. সাধারন সভার
ক) কার্যকরি কমিটি প্রতি ০৩ মাস অন্তর অন্তর বৎসরে অন্তত ০৪টি ত্রৈমাসিক সভা এবং প্রাপ্ত হিসাব বছরে একটি বার্ষিক সাধারন সভা অনলাইনে আহব্বান করবে।
(খ) ত্রৈমাসিক সভার ৭দিন এবং বাষিক সাধারন সভার ১৪ দিন পূর্বে অনলাইন নোটিশের মাধ্যমে সভার সময় স্থান ও আলোচ্যসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।
(গ) ত্রৈমাসিক সভায় কার্যকরি কমিটির অর্ধেক সদস্য উপস্থিত হলে কোরাম পূর্ণ হবে বলে বিবেচিত হবে।
(ঘ) সকল ধরনের সভায় সমিতির সভাপতি পদাধিকার বলে সভাপতিত্ব করবেন।
(ঙ) কার্যকরি কমিটি একদিনের অনলাইন নোটিশে জরুরী সভা আহব্বান করতে পারবে।
(চ) সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে ।
(ছ) শুধুমাত্র পূর্ণ পরিশোধিত সদস্যই সভায় মতামত প্রদান করতে পারবে।
৩৩. গঠনতন্ত্রের সংশোধন
বার্ষিক সাধারণ সভার তিন মাস পূর্বে সমিতির সদস্যগণের লিখিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব বার্ষিক সাধারণ সভায় বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য পেশ করা হইবে। উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হইবে। চুরান্ত অনুমোদনের জন্য নিবন্ধিকরণ কর্তৃকপক্ষের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং অনুমোদিত হইলে উহা কার্যকরী হইবে।
৩৪.আইন বিধির প্রাধান্য,
এই প্রবাসী সমিতির গঠনতন্ত্রে বা বিধিমালাসহ,
গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে কোন সমবায় আইন কে প্রাধান্য দেওয়া হবে ।
৩৫. সমিতির উদ্দ্যোক্তাদের নাম:-
১/ আবুল হোসেন (দুবাই প্রবাসী)
২/ আকবর হোসেন(সৌদিয়া আরব প্রবাসী)
৩/ মোঃনুরুজ্জামান (সৌদিয়া আরব প্রবাসী)
৪/ বাবুল মিয়া (সৌদিয়া আরব প্রবাসী)
৫/ আঃমান্নান মিয়া (সৌদিয়া আরব প্রবাসী)
৬/সাইফুল ইসলাম (সৌদিয়া আরব প্রবাসী)
৩৬.টিটির চর প্রবাসী একতা সমিতির সন্মানিত সদস্য বৃন্দদের নাম :-
১/ মোঃস্বপন রানা
২/সাইফুল ইসলাম Saiful Islam
৩/গোলাম মোস্তফা Mustafa Khan
৪/মোঃআলম মিয়া Alam All Alam
৫/আলতাফ হোসেন Altaf Hossain
৬/আঃমান্নান মিয়া Manan Mia
৭/মোঃআবুল হোসেন (দুবাই) Abull Hussain Meghna
৮/আঃআবুল হোসেন (সৌদিয়া আরব)
৯/ আকবর আলী ভাই Akbor Hosen
১০/ মোঃবাবুল মিয়া Babul Miah
১১/ মোঃমনির হোসেন Monir Hussain
১২/আক্তার হোসেন (সৌদিয়া আরব)
১৩/ ফায়সাল আহমেদ Faisal Ahmed
১৪/ কামরুল হাসান খোকন Kamrul Hassan Hassan
১৫/আলী আজগর Ali Azgar
১৬/মোঃজয়নাল আবদ্দীন Zaynal Zaynal
১৭/মোঃইলিয়াছ মিয়া(মালোশিয়া) Eliyas Miah
১৮/মোঃ শামিম Md Shamim Hossin
১৯/মোঃনুরুজ্জামান MD Noruz Zaman
২০/আবু কালাম Kalam Miya
২১/মনির হোসেন(দুবাই) Monir Ali
২২/ মোঃডালিম ( আনোয়ার)
২৩/আনোয়ার হোসেন Md Anowar
২৪/দিল মোহান্মদ (সাজিব) Shajeeb Ahmed
২৫/মোঃরিপন মিয়া Ripon Miya
--------------সমাপ্ত-----------------
No comments:
Post a Comment